শীট মাস্কের মুলত কোরিয়ানরা আবিষ্কার করেছেন। কোরিয়ানরা খুবই বিউটি কনসিয়াস। তারা রুপ সৌন্দর্য নিয়ে এতটাই ভাবে, যে কষ্ট ছাড়া খুব সহজেই কিভাবে ফেসিয়াল করা যায় তা আবিষ্কার করে ফেলেছে। একবার যারা শীট ব্যবহার করেছেন তারা নিশ্চিত শীট মাস্কের প্রেমে পরে গিয়েছেন। এটা আপনার স্কিনকে দেয় বুস্ট এবং হাইড্রেশন যা খুবই দরকারি।
শীট মাস্ক লাভার যারা আছেন, তাদের জন্য সুখবর ! শিট মাস্কের জন্য আর দৌড়াতে হবেনা। ঘরে বসেই খুব সহজেই আপনি শীট মাস্ক তৈরি করতে পারেন।
শীট মাস্ক হচ্ছে মূলত তুলো-এর চিকন বা পাতলা শীট যা ভিন্ন ভিন্ন উপাদানে প্রস্তুত দ্রব্যে সিক্ত করা হয় এবং সরাসরি মুখের উপর ব্যবহার করা হয়। যদি আপনি ঘরে আপনার নিজের উপর এটা করেন, তাহলে আপনি ড্রাই কটন বেবি ওয়াইপস বা কটন ফেসিয়াল মাস্ক শীট ব্যবহার করতে পারেন যা অনলাইনেও পাওয়া যায়।
রাইস ওয়াটার শীট মাস্ক
রাইস ওয়াটার হচ্ছে সে কোরিয়ান নারীদের সৌন্দর্যের গোপন কথা যা তাদেরকে দেয় নরম, কোমল ত্বক। এটা ত্বকের ইলাস্টিসিটি ইমপ্রুভ করে, পোরস গুলোকে মিনিমাইজ করে এবং ত্বকের কোষ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। একটি বাটিতে এক মুঠো চাল ভালো করে ভিজিয়ে চাল গুলো ধুয়ে নিন যেন ময়লা থেকে না যায়। এর ফ্রেস পানি দিয়ে সারারাত চাল গুলো ভিজিয়ে রাখুন। পরবর্তী দিন, এটায় আপনার কটন ওয়াইপস অথবা শীট মাস্ক ডুবিয়ে সবকিছু সহ ফ্রিজে রেখে দিন ৩০ মিনিটের জন্য। ব্যাস হয়ে গেল! আপনার রিফ্রেসিং ঘরোয়া রাইস ওয়াটার শীট মাস্ক।
গ্রীন চা শীট মাস্ক
গ্রীন চা সে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-এ পরিপূর্ণ যা আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যকর গ্লোয়িং করতে সাহায্য করে। এটা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি বিশ্বস্ত আর কার্যকর প্রদাহ নিরোধী এজেন্ট। ৫-৬টি গ্রীন টি ব্যাগ নিয়ে গরম পানিতে রাখুন ১০-১৫ মিনিট জন্য । একবার সব চা বের করা হয়ে আসলে, রুমের তাপমাত্রায় এটাকে ঠান্ডা করুন। আপনি চাইলে এর সাথে সামান্য লেবুর রস মেশাতে পারেন ভালো ফলাফলের জন্য। এতে কটন ওয়াইপস অথবা শীট মাস্ক ডুবিয়ে সবকিছু সহ ফ্রিজে রেখে দিন ৩০ মিনিটের জন্য। এরপর পুরো মুখে শীট মাস্কটি লাগিয়ে রাখুন।
শশা রস শীট মাস্ক
যদি আপনার সেনসেটিভ ত্বক হয়ে থাকে যা কিছু ব্যবহার করলেই জ্বালাতন করে তাহলে বলব এই শশা শীট মাস্কটি আপনার জন্য খবই উপকারী। শশা হচ্ছে ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ, এতে আছে ক্যাফেইক (caffeic) এসিড যা ত্বকের ফোলা ভাব ও ইরিটেশনের সাথে যুদ্ধ করে এবং ত্বককে ঝুলে পড়া রক্ষা করে ত্বককে মজবুত করতে সাহায্য করে। ৩-৪ টি শশা নিয়ে ব্লেন্ডারের সাহায্যে জুস করে নিন। এবার এই শশার জুসটিতে কটন ওয়াইপস অথবা শীট মাস্ক ডুবিয়ে সবকিছু সহ ফ্রিজে রেখে দিন ৩০ মিনিটের জন্য। হয়ে গেল শশার শীট মাস্ক।
এই শীট মাস্ক স্টোর করে রাখা যায় কি? অবশ্যই ! ভিজা শীট মাস্কটি ভাঁজ করুন ভালভাবে এবং একটি জিপ লক ব্যাগে এদের রাখুন। কোনো ভাবে বাতাস যেন না ঢুকে তা নিশ্চিত করে ব্যাগটি লক করে দিন। এরপর এই ব্যাগটি ফ্রিজে স্টোর করে রাখুন। যদিও বাজারে যেসব শীট মাস্ক পাওয়া যায় তাদের খুব ভালো সুগন্ধি দেয়া থাকে। এই ঘরোয়া শীট মাস্ককে কোন সুগন্ধি তো পাবেন না, কিন্তু এটাতে কোনো প্রকার ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ পাবেন না। যাইহোক ১০ দিন-এর মধ্যে স্টোর করে রাখা মাস্কটি ব্যবহার করুন।
তারকালয়/২০ /০৯/১৮/রুপা