বর্তমানে কোনো কিছু একবার যদি দর্শকের নজরে পরে তাহলে সেটা ট্রিন্ডিন এ পরে যায় অর্থাৎ সেটা নিয়েই কিছুদিন ধরে রাখে ,ঠিক এমন একটি গান যা নিয়ে এখন সোসিয়াল মিডিয়া মাতিয়ে আছে,গানটি হলো ” চান্দের বাতি” । ফেসবুক বিভিন্ন পেজে, বড় বড় গ্রুপে ছেলে মেয়েরা গানের সাথে তাল মিয়ে নেচে ভিডিও পোস্ট করছে, সাথে সাথে ভিডিও গুলো ভাইরাল হচ্ছে ।এমনকি বর্তমানের প্রবীণ জগতের অন্যতম একজন সেলিব্রিটি ,মডেল ও অভিনেতা সাথে বাংলাদেশের সর্ব প্রথম ইউটিউবার সালমান মুক্তাদীর এই গানে তার সঙ্গীদের নিয়ে একটি ড্যান্স ভিডিও পোস্ট করেছেন ,তার সাথে ছিল সৌমিক এবং তার ভাই সৌভিক ও ছোট আজাদ এবং আরো অনেকে।

কিন্তু এই, এত সুন্দর গানটি যে গেছেন তার কথা তো দর্শক ভুলেই গিয়েছে,গান টি গেছে সংগীতশিল্পী বিপ্লব,তিনি কোথায় আছেন এখন? কি করেছেন ,এখনকি কাজ করছেন পর্দার অন্তরালে দর্শকের জন্য? কোথায় বসবাস করছেন তিনি ? এসকল প্রশ্নের জবাব নিয়ে আজকের তারকালয়।
স্টেজ কিংবা রেডিও-টেলিভিশন—কোথাও নেই ব্যান্ড প্রমিথিউসের শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী বিপ্লব। তাহলে কোথায় আছেন তিনি !? জানা যায় দীর্ঘ দিন ধরে যু’ক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন তিনি। তার সংসার আলো করে এসেছে দুই পুত্র, এক কন্যা। করো’নার এই সংকট’কালে পুরো পরিবার নিয়ে যু’ক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্সে বসবাস করছেন এই শিল্পী।

যুগে যুগে দেশে অনেক ব্যান্ডদলের সূচনা হয়েছে। কিন্তু শ্রোতাদের মন জয় করে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি দল। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে নগরবাউল, এলআরবি, মাইলস প্রমুখ। এছাড়া ‘প্রমিথিউস’ ব্যান্ডদলেরও রয়েছে বেশ জনপ্রিয়তা। আশির দশকের জনপ্রিয় ‘প্রমিথিউস’ ব্যান্ডের প্রধান সদস্য ও ভোকাল বিল্পব। মূলত তার হাত ধরেই ১৯৮৬ সালে এই ব্যান্ডের যাত্রা শুরু হয়।

এক সময়ের দাপুটে সংগীতশিল্পী বিপ্লব এখন ট্যাক্সি চালক ,অর্থাৎ নিজের জীবিকা নির্বাহ জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি এখন গাড়ি চালিয়ে নিজের জীবন যাপন করছেন। এমন খবরে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা অবাক হবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিপ্লব এতে মোটেও বিব্রত নন। তিনি তার কাজ নিয়ে গর্বিত
বিপ্লবের ভাষায়—আমি ট্যাক্সি জবে আছি, বলতে সংকোচ বোধ করি না। আমি তো চুরি করছি না। মানুষকে সেবা দিচ্ছি, বিনিময়ে টাকা নিচ্ছি।যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর আমার অনেক বড় অভিজ্ঞতা হয়েছে। বিদেশ বলতে দেশে বসে যা বুঝি, বিদেশ আসলে মোটেও তা নয়। আমেরিকার লাইফ আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে, অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, যা আমার পরবর্তী জীবনে কাজে দেবে।

তিনি বলেন করোনার এই সংকটে ট্যাক্সি সার্ভিস করা যথেষ্ট ঝুঁ’কিপূর্ণ । কিন্তু তারপরও স্থানীয় একটি হাসপাতালের সঙ্গে কাজ করছি। বিষয়টি জানিয়ে এ শিল্পী বলেন—জরুরি কাজে প্রায় দিনই বের হতে হয়। পরিবারের সবার নিরাপত্তার কথা ভেবে ওদের বাসার পাশেই এক রুমের বাসায় থাকছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিদিনই দেখা করছি। সময়ের কারণে একটা শুন্যতা তৈরি হলেও গান ছেড়ে দেননি বিপ্লব। বরং গান তার অস্তিত্বে মিশে আছে। নিয়মিত গিটারের প্র্যাকটিস করছেন। নতুন নতুন গান লিখছেন বলেও জানান তিনি।

কিন্তু দেশে থাকা কালীন তার গুণের মর্যাদা আগে যত টুকু পেয়েছিল বর্তমানে টা হারিয়ে গেছে বললেই চলে।কিন্তু তার একটি গান বেশ কিছুদিন আগে ট্রেন্ডিয়ে ছিল বলে তিনি খুবই আনন্দিত। তিনি বলেন এই গানটি এখনও মানুষ মনে রেখেছে এতেই আমি খুশি।
Tarokaloy 03/10/2020 Riya