নিজেকে পাম্পার করতে কার না ভালো লাগে ,আর পার্লার হচ্ছে নিজেকে পাম্পার করার অন্য তম স্থান। সব কিছুর যত্ন নিয়া উচিত কেননা সুন্দর্য অনেক বড় একটা আশীর্বাদ। ফেইস টা যেহেতু সবার নজরে প্রথমে আসে তাই এটার প্রতি কড়া নজরে রাখা আবশ্যক।উচিত মাসে একবার হলেও ফেসিয়াল করতে যাওয়া বা ঘরে বসেই করে নেয়া।
পার্লারে যারা নিয়মিত যান তারা নিশ্চয়ই অক্সি ডি ট্যান সম্পর্কে জানেন। অনেকেই ফেসিয়াল করার আগে অক্সি ডি ট্যান আগে করে নিয়ে তারপর ফেসিয়াল করেন। কারন স্কিনের যত্ন নিতে এটি ব্যাপক কাজ করে।

এখন হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেন যে পার্লারে না গেলে কি অক্সি ডি ট্যান করা যাবে না? নিশ্চয়ই করা যাবে। রেডিমেড ফেস প্যাক কিনে এনেও এটা করতে পারেন, অথবা একেবারে ঘরোয়া উপকরন দিয়ে ফেস প্যাক বানিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

অক্সি ডি ট্যান ঘরোয়া ফেস প্যাক তৈরি উপকরণ এবং ব্যাবহার প্রণালী:
ঘরোয়া ভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া সবচেয়ে নিরাপদ, এতে কাজ হতে একটু সময় লাগলেও কিন্তু কোন রকমের ক্ষতি হয় না। বরং ভিতর থেকে ত্বক আরও হেলদি হয়ে ওঠে। অক্সি ডি ট্যান প্যাক ঘরে বানিয়ে ব্যবহার করা সবচেয়ে উপযুক্ত ত্বকের জন্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক অক্সি ডি ট্যান ফেস প্যাক কিভাবে বানাবেন ও ব্যবহার করবেন।

প্যাক লাগানোর আগে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে উচিত আর সেটি হলো: প্রথমে আপনার মুখ ধুয়ে নিন আপনার প্রতিদিনের ফেস ওয়াশ দিয়ে। তারপর পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে ভালো ভাবে মুখ মুছে নিন।
এবার জানা যাক ফেইস প্যাক তৈরি যেহেতু সরাসরি ফেস প্যাক ব্যবহার করতে হবে।
উপকরণঃ
১: লবঙ্গের পেস্ট ২ চা চামচ
২: পুদিনা পাতার পেস্ট ৪ চা চামচ
৩:এসেন্সিয়াল অয়েল ২ ফোটার মত

ব্যাবহার বিধি:
উপরে সব গুলো উপকরণ পরিমান মত একটি কাঁচের পাত্রে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। হাত দিয়ে প্রথমে ভালো করে মুখে, বিশেষত ট্যান পরা জায়গায় প্যাকটি অ্যাপ্লাই করুন।
হালকা হাতের তালুর চাপে ৫ মিনিট মত ম্যাসাজ করে এরপর প্যাক শুকনোর জন্য
২০ মিনিট অপেক্ষা করুন । তারপর পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
সপ্তাহে দুবার করে এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার করলেই হবে।
এর পর ফেস প্যাক লাগানোর পর মুখ ধুয়ে নেওয়ার ৫ মিনিট পর টোনার লাগিয়ে নিন , অথবা গোলাপজল টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আর একটি ছোট্ট টিপস একবার বানিয়ে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন ৩ দিন জন্য। তবে সবচেয়ে উপকারী হয় যখন ব্যবহার করবেন তখনই বানিয়ে নিয়ে অ্যাপ্লাই করা।