কর্মজীবনে নারীরা হতাশায় ভোগেন, তার বড় একটা কারণ হচ্ছে পরিবারের অসহযোগিতা। ফলাফল, হয় ব্যক্তিগত জীবনে টানা অশান্তি, নয় শেষমেশ কাজটাই ছেড়ে দেয়া! ভাবুনতো, একজন পুরুষকে তো তার বাইরের কাজের জন্য এত ভেবেচিন্তে পা ফেলা লাগে না, তবে একজন নারীকে কেন ভাবতে হবে প্রতি পদে? অথচ, চাইলেই পরিবার সবচেয়ে বড় সমর্থন হয়ে উঠতে পারে মেয়েদের কাজের ক্ষেত্রে। বিষয়টা খুব কি কঠিন?

কর্মজীবী নারী তার কাজের ধরণ নিয়ে পরিবারে খোলাখুলি কথা বলে রাখতে পারেন। যেমন, নির্ধারিত সময়ের বাইরেও যদি কখনো সখনো বাড়তি সময় থাকা লাগে অফিসে, সেটা আগেভাগেই ঘরে বলে দেয়া ভালো। এমনটা যদি প্রায়ই হয় সেক্ষেত্রে পরিবারের কাছে এই বিষয়টা অদ্ভুত হবে না তখন। তাদের যদি দেরি করে ঘরে ফেরা নিয়ে আপত্তি থাকে, আর ঐ নারী নিজেও চাকরি নিয়ে খুশি না থাকেন, তবে চাকরি ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়াই ভালো। আর যদি নারী নিজে এমন কর্মক্ষেত্র নিয়ে খুশি থাকেন, তাহলে পরিবারের সদস্যদের সাথে অনবরত মতবিরোধ হবার সম্ভাবনা নিয়েই কাজ করে যেতে হবে।

কিন্তু ব্যাপার টা তখনই গুরুপূর্ণ হয়ে উঠে যখন সেটি সন্তানের উপর প্রশ্ন আসে ,এক পর্যায় দেখা যায় সন্তানদের জন্য সব কিছু ছেড়ে দিয়ে তাদের পিছনে ছুটে ছুটি । তাই দরকার একটি পরিকল্পনা মূলক ব্যবস্থা । সন্তানকে প্রথম থেকেই গড়ে তুলতে হবে সেই ভাবেই। মা অফিস কিংবা ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকলে বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই স্বনির্ভর হতে শেখানো উচিত। গৃহিণী একজন মা যেমন গোটা দিন সংসার ও সন্তানের পরিচর্যায় কাটাতে পারেন, একজন কর্মজীবী মা সেটা পারেন না।

এই বিষয়টার সাথে বাচ্চাদের অল্প বয়সেই অভ্যস্ত করে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ। স্বনির্ভর হবার অর্থ এই নয় যে প্রতিটা কাজই বাচ্চারা নিজের হাতে করবে, কিন্তু বেশিরভাগ কাজ নিজে করতে পারার মত শিক্ষা তাদের দিতে হবে। সকালে মুখহাত ধুয়ে নাস্তার টেবিলে আসার অভ্যাসটা তাদের নিজেদের হোক। স্কুলের ব্যাগটা মা এক ফাঁকে গুছিয়ে দিলেন। মাকেও অফিসের জন্য বের হতে হবে, স্কুলের মতো অফিসে যাবারও নির্দিষ্ট সময় থাকে, দেরি হলে অফিসেও বকুনি শোনা লাগতে পারে বা কাজের ক্ষতি হতে পারে, সহজ কথায় এই জিনিসগুলো বাচ্চাদের বোঝানো উচিত।
Tarokaloy 12/09/2020 Riya