শীত আসছে! কিন্তু শীত আসার আগেই শরীরের ত্বকের নানান সমস্যা দেখা, বিশেষ ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়া। আমরা মুখের যত্ন নেই ঠিকই কিন্তু হাত-পা এর দিকে খেয়াল রাখিনা। শীত আসলে ত্বকের ড্রাই হওয়ার সমস্যা বেড়ে যায় না এমনকি তখন পানি, কেমিক্যাল, ধুলোবালি ও সূর্যের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব ঘটায়। তাই প্রাকৃতিক উপাদান অনেক ভালো কাজ করে ত্বকের শুষ্কতা সাড়াতে! এখানে ৬টি প্রাকৃতিক উপাদান তুলে ধরলাম যা আপনার হাতের ত্বকের ড্রাইনেস সাড়িয়ে তুলবে।
টক দই, চিনি ও মধুর স্ক্রাব
যেভাবে তৈরি করবেন : সমান পরিমাণে টক দই, চিনি ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। একটি ঘন পেস্ট বানিয়ে তা হাতে ও মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। আপনি দেখতে পাবেন আপনার ত্বক আগে কতটা ময়শ্চারাইজ হয়েছে। আপনি চাইলে কফি এড করতে পারেন যা আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।
কিভাবে কাজ করে : শুষ্ক ত্বক দেয় রুক্ষ অনুভূতি। এমনকি শুষ্ক ত্বক অনেক বেশি সেনসেটিভ হয়। যার জন্য প্রয়োজন হয় জেন্টল ও ময়শ্চারাইজিং স্ক্রাব, যা ত্বকের মৃত কোষগুলি তুলে ফেলে। এরই সাথে টক দই এ আছে ল্যাকটিক এসিড যা ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে, চিনি ত্বকের শুষ্ক স্তরকে রাব করে। আর মধু ময়শ্চারাইজ করে।
দুধ, গোলাপ জল ও লেবুর রস
যেভাবে তৈরি করবেন : কয়েক ফোটা গোলাপ জল, ও লেবুর রস ও ৪ টেবিল চামচ দুধ নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আপনার হাতে ও পা এ লাগিয়ে ১০-২০ মিনিট রাখুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কিভাবে কাজ করে : রূপচর্চায় দুধ সবচেয়ে জনপ্রিয় উপাদান এমনকি ড্রাই স্কিনের জন্য উপকারী। এতে আছে ল্যাকটিক এসিড ও অন্যান্য উপাদান যা ত্বককে তৈলাক্ত গ্রন্থিগুলিকে শীতল করে যা অ্যাকনে, বয়সের ছাপ দুর করে ত্বককে করে রেডিয়েন্ট।
ডিম
যেভাবে তৈরি করবেন : ডিমের কুসুম এর সাথে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, অরেঞ্জ জুস, লেবুর রস, ও গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি আপনার হাতে ও পা এ লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন সকালে ব্যবহার করুন খুব ভালো ফলাফল পেতে।
কিভাবে কাজ করে : ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনস যা আপনার ত্বককে করবে সজীব। অরেঞ্জ জুসে আছে ভিটামিন সি যা ত্বকের ব্লেমিশিস দুর করে। অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, ও মধুর মধ্যে আছে উচ্চ মাত্রায় ময়শ্চারাইজিং এজেন্ট যা ত্বককে ভিতর থেকে ময়শ্চারাইজ করে।
তারকালয়/১৭ সেপ্টেম্বর,২০১৮/রুপা