ত্বকের সাথে মিলিয়ে কোনও প্রোডাক্ট কেনা খুবই ঝামেলার কাজ। আগে থেকে জানা না থাকলে, একটা প্রোডাক্ট কিনতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যেতে পারে। ফেস পাউডার এমন-ই একটি প্রোডাক্ট আপনি যদি আগে থেকে না জানেন কোন ফেস পাউডার আপনার ত্বকের জন্য পারফেক্ট, তাহলে আপনি ফেস পাউডার কেনার সময় সমস্যার সম্মুখীন হবেন। এখানে ৫ টি ফেস পাউডারের নাম, সুবিধা-অসুবিধা সহ দেওয়া হলও। মিলিয়ে নিন, আপনার কোনটি দরকার:
১. লওরা মার্সিয়ার ট্রান্সলুসেন্ট লুজ সেটিং পাউডার
সুবিধা:
- ত্বকে চমৎকার ম্যাট ফিনিশ দিবে
- সব ধরনের ত্বকের জন্য ব্যবহার উপযোগী
- প্রায় ৬ ঘণ্টার মতো স্থায়ী হবে
অসুবিধা:
- পাফটি তুলনামূলক বড়, যার ফলে কন্টেইনারে রাখা যায় না।
- এটি লুজ পাউডার, তাই দুরে ভ্রমণের জন্য কার্যকরী না।
রেটিং: ৪/৫
২. ম্যাক মিনারেলাইজ স্কিন ফিনিশ ন্যাচারাল
সুবিধা:
- ফটো-শুট এবং ভিডিও করার জন্য পারফেক্ট
- ১৫ টি শেড এভেইলএবল
- এটি ন্যাচাল লুক পাওয়ার জন্য আদর্শ
- প্রতিদিন ব্যবহার করা সম্ভব
- ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই
অসুবিধা:
- অয়লি স্কিনের জন্য ব্যবহার উপযোগী নয়
রেটিং: ৪/৫
৩. রিমেল স্টে ম্যাট প্রেসড পাউডার
সুবিধা:
- ৫ ঘণ্টার উপরে স্থায়ী হয়
- অয়লি স্কিনের জন্য পারফেক্ট
- সব ধরনের স্কিনে ব্যবহার করা যায়
অসুবিধা:
- লুজ পাউডার হওয়ার ফলে এটি ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করা যায় না
- দুর্বল প্যাকেজিং
রেটিং: ৪.৫/৫
৪. মেকআপ ফর এভার এইচডি মাইক্রো ফিনিশ পাউডার
সুবিধা:
- ত্বকে ব্যবহার করার পর অদৃশ্য হয়ে যায়
- প্রিমার এর চেয়ে ভালো মেক আপ সেট করে
- লোমকূপ সংকুচিত করে
- ব্রোঞ্জার, ব্লাশ আর কন্ট্যুরের রং এর সাথে মিশে যায় না
অসুবিধা:
- ডার্ক স্কিনে একটু লাইট দেখায়
রেটিং: ৪.৫/ ৫
৫. ক্লিনিক ব্লেন্ডেড ফেস পাউডার
সুবিধা:
- এলার্জি টেস্টেড
- লোম কূপ মিনিমাইজ করে
- ব্রন হওয়ার ঝুঁকি নেই
অসুবিধা:
- খুব বেশি অয়লি স্কিন হলে ব্যবহার করা যাবে না
- কোনও ব্লেমিশ ঢাকতে ব্যবহার করা যায় না
- ইরিটেশন সৃষ্টি করতে পারে
রেটিং: ৪/৫
এখন সব সুবিধা অসুবিধা যাচাই বাছাই করে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, আপনার কোন ফেস পাউডারটি দরকার।