আড্ডা উইথ সোহানা সাবা
প্রত্যেকে বারের মতো এবারও সোহানা সাবা চলে এসছেন তার পছন্দের কিছু মানুষের সাথে আড্ডা দিতে ,তার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান আড্ডা উইথ সোহানা সাবাতে। বরাবরের মতই রাত নটায় তার লাইভ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন তিনি।
আজকের এই আড্ডায় তার সাথে আড্ডায় আছেন , বাংলাদেশের জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী এবং গায়িকা , যিনি আলোচনা এবং সমালোচনার সর্বাধিক সময়ে স্পোর্ট লাইটে থাকেন। তাকে শুধু অভিনেত্রী বললে ভুল হবে কেনো না ,তিনি একজন অভিনেত্রী পাশা পাশি সমাজ সেবিকাও । তিনি শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ সংস্থা নিয়ে কাজ করছেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন তিনি কে!!
তিনি হচ্ছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।
এবং তার সাথে আছেন ওপর বাংলার সর্বাধিক ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র ,”অটোগ্রাফ ” এর পরিচালক ,যিনি একাধিক বার ভালো ভালো চলচ্চিত্র দর্শকদের উপহার দিয়েছেন , এবং সব থেকে বড় ব্যাপার তিনি হচ্ছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলার স্বামী অর্থাৎ সৃজিত মুখার্জি।
নানা রকম আলাপ আলোচনার মধ্যেই আড্ডা জমে উঠে। সোহানা সাবা দর্শকদের উদ্দেশ্য করে তাদের কাছ থেকে অনেক তথ্য অনুসন্ধান করেন। যার ফলে তাদের বিয়ে থেকে শুরু করে এখন অব্দি তাদের কেমন যাচ্ছে ,বিবাহিত জীবন টা জানা যায় । এবং তারা তাদের কর্ম জীবনকে কিভাবে পরিচালনা করেছে তাও ব্যক্ত করেন। যেহেতু তারা দুইজনই দুই দেশের নাগরিক সে ক্ষেত্রে তাদের ব্যস্ততাও ভিন্নতর , সেগুলোকে ঘিরেই দুইজন দুজনকে সময় দিতেন।
সামাজিক যোগাযোগের সমালোচনার সম্মুখীন নিয়ে মিথিলাকে বলেন
মাঝে মাঝে আমার খুব খারাপ লাগে এই ভেবে ,তারা তাদের ব্যাক্তিত্বের প্রকাশ কিভাবে দিচ্ছে। কেননা আমাদের কমেন্ট বক্সে গেলে দেখা যায় তারা কতটা নোংরা এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে যায়,সব সময়ই এড়িয়ে যাই,কিন্তু একটা সময় ভাবলে অবাক লাগে এরাই একদিন আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা রাখবে। ওপাশ থেকে সৃজিত বলেন,আমি কখনোই এসব কে পাত্তা দেই না। কিছু অশিক্ষিত মানুষের কাজ এসব করা ,তারা করাই যাবে,এবং নিজেদের ব্যাক্তিত্বের প্রকাশ দিবে।
সৃজিত জানায় এবছর তার ১০ বছর পূর্তি হলো মিডিয়া জগতে এবং এ দশ বছরে ১৭ চলচ্চিত্র তিনি নির্মাণ করেছেন এবং প্রত্যেকটি যথাযথ সাড়া পেয়েছে দর্শকদের কাছ থেকে।
,ওপর দিকে মিথিলার ব্র্যাকে কর্মরত অবস্থায় ১২ বছর পূর্তি হলো। মিথিলা তার সামাজিক কাজকেই তার জীবনের আসল লক্ষ্য হিসেবে প্রাধান্য দিয়েছে,মিডিয়া তে কাজ হচ্ছে তার শখের বসে করা। যখনই সুযোগ পায় তখনই কিছু নাটক দর্শকদের দেয়ার চেষ্টা করে।
দু দেশের মিল এবং অমিল নিয়ে প্রশ্ন করলে সৃজিত বলেন,আমি কখনোই ভিন্নতর অনুভব করি নি, কিন্তু কলকাতার মানুষ থেকে বাংলাদেশের মানুষ অনেক বেশি অতিথি পরায়ণ , অতিথির আদর করতে এদেশের মানুষ অনেক পরিচিত। আমাদের কলকাতায় যেমন : দু পদ দিয়েই অ্যাপায়ন সেরে দিয়া হয় সেখানে বাংলাদেশের মানুষ ষোলো পদের রান্নার আয়োজন করে থাকে। এই ব্যাপারটা অনেক ভালো লাগার কারণ।
আমি বাংলাদেশের অনেক জায়গাতেই ঘুরেছি ,অনেক স্বাদের রান্নাও খেয়ে দেখিছি। অন্যদিকে মিথিলার এখনও ভালো ভাবে কলকাতা শহর টা ঘুরা হয়নি । চিন্তা ভাবনা আছে একবারে সেখানে সেটেল হয়ে যাওয়ার । তখন ঘুরে ঘুরে দেখবে।
মিথিলার সাথে প্রেম করার সাথে সাথে আয়রার সাথে তার বন্ধুত্বটা এতটা ঘনিষ্ঠ হবে ভাবেননি সৃজিত। তিনি বলেন ” যদিও আমি আয়রার বায়োলজিক্যাল বাবা নই,তারপরও আমার আর আয়রার মধ্যে যথেষ্ট মিল রয়েছে।
যদিও দেখতে ও ওর বাবা আর মায়ের মতো হয়েছে কিন্তু ওর স্বভাব টা নিতান্তই আমার মতই।
মিথিলা বলেন ,সৃজিত তাদের সম্পর্কের প্রতি যথেষ্ট যত্নবান ছিল,যদিও আমাকে মুগ্ধ করার মত কিছু করে নি,কিন্তু আমাদের সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত নিয়া জন্যে ও যথেষ্ট চেষ্টা করেছে,এবং আমার তখনই আমার মনে হয়েছে নিঃসন্দেহে এই মানুষটির সাথে সারাজীবন থাকা যায়,আর আমার ভালো লাগতো ওর সাথে সময় কাটাতে। আমাদের ফেসবুকের মধ্যে থেকেই কথা এর পর এক সপ্তাহের মধ্যে সৃজিত দেখা করতে আশে এবং ওকে এয়ারপর্ট থেকে রিসিভ করার জন্যে আমি এবং আমার এক বন্ধুবি যাই। এর পর গাড়ি তে উঠেই ও বলছে ডিসেম্বর মাসে আমাকে বিয়ে করবে। ব্যাপার গুলো আমার জন্যে খুবই নতুন ছিল,আর সৃজিত কোনো কিছুতে স্থির হলে সেখানে ও বেশি সময় অতিবাহিত করা পছন্দ করে না ,এর পর এক বছরের পরিচয়ের মাথায় আমাদের বিয়ে টা হয়।
মিথিলা তার এবং সৃজিত এর প্রেমের কথা সর্ব প্রথম জানায় তাহসানকে , এবং তাহসান মিথিলাকে উৎসাহ দেন,এবং শুভকামনা জানায়।
মিথিলা বলে,আমি আমার এবং সৃজিত এর সম্পর্কে কথা সবার আগে তাহসানকে বলি ,এবং ও আমাকে যথেষ্ট উৎসাহ দিয়েছিল। এবং আমরা তিনজনই ভালো বন্ধু ।
আরো নানান রকম কথা প্রকাশ করেন মিথিলা এবং সৃজিত তাদের জীবন সম্পর্কে, সোহানা সাবার অনুষ্ঠানে। সুতরাং তাদের জীবনের নিত্য নতুন গল্পঃ বিস্তারিত জানতে ,তাদের আড্ডা টি পুনরায় দেখে ফেলুন।
তারকালয় ১৮/০৫/২০২০ই রিয়া