সালমান শাহ্! চলচ্চিত্র জগতের এক অন্যতম নাম, বলা যায় তখনকার সময় থেকে এখন পর্যন্ত তার জনপ্রিয়তা কোনো কমতি হয়নি। তার মৃত্যুর ৪০ বছর পরও আজও তার কথা স্মরণ করা হয় ঠিক একই ভাবে। ৯০ই দশক থেকে এখনকার প্রজন্ম নতুন ভাবে তার চলচ্চিত্র দেখে দেখে তার ভক্ততে রূপান্তরিত হচ্ছে।

তার মৃত্যুতে আহত পুরো বাংলাদেশ। তার সহকর্মী থেকে শুরু করে পুরো ইন্ডাস্ট্রি তারকা গণের মত আজ সালমান শাহ বেছে থাকলে হয়তো বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আসার আলো খুজে পেতে। তার মৃত্যুর রহস্য এখনও যেনো রহস্য হয়েই রয়ে গেল। কিন্তু তার জীবনের চলচ্চিত্র জগতের পদার্পণ ছিল রোমাঞ্চকর।

সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় আসেন সালমান শাহ ও মৌসুমী। প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করেন এই জুটি। তাদের অভিনয়ের কাজের দ্বারা অনেক প্রশংসা অর্জন করেন এই দুই নবীন তারকা।

১৯৯৩ সালে ছবিটি মুক্তি পায়। এরপর সালমানের সঙ্গে আরো তিনটি ছবিতে জুটি বেঁধে কাজ করেন মৌসুমী। এগুলো হলো ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘দেনমোহর’ ও ‘স্নেহ’। বেশ আলোচিত হয় তাদের দুইজনের জুটি।
সবগুলো ছবি ছিল ব্যবসা সফল। আজও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের প্রিয় হয়ে আছেন এই জুটি। তবে চলচ্চিত্রে আসার আগেও সালমান মৌসুমীর মধ্যে ছিল পরিচয়। কিন্তু এটি জানতেন না নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। নির্মাতার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেও সেটি তারা প্রকাশ করেননি।

মৌসুমী বলেন, আমি এবং সালমান একই কোচিং সেন্টারে পড়তাম। সে একটা কলেজে পড়তো। আর আমি অন্য স্কুলে। কিন্তু কোচিং সেন্টার ছিল একই। প্রায় এক বছর আমরা একই কোচিং সেন্টারে পড়েছি। আমাদের প্রায়ই দেখা হতো। তবে তেমন কথা হতো না।
মৌসুমী আরো জানান, খুব ছোট বেলাতেও তারা দু’জন একই স্কুলে একবার পড়েছেন। ফিল্মে আসার পর সেটি তারা দু’জন জানেন। সালমান প্রয়াত হয়েছেন দীর্ঘ সময়। এদিকে মৌসুমী এখনো সমানতালে অভিনয় করছেন। সম্প্রতি তিনি ‘বাংলার ভাবী’ শিরোনামের একটি ছবির শুটিং শুরু করেছেন।

আজও দর্শক তাদের দুইজনের জুটি কে ভুলতে পারেনি। মনের মধ্যে জায়গা করে রেখেছেন এই জুটি। সালমান মৃত্যুর পর অনেক ছবি করেছেন মৌসুমী। কিন্তু সালমানের সাথে তার জুটি এবং কেমিস্ট্রি আজও শূন্যতা সৃষ্টি করে বলে জানান গ্ল্যামার কুইন মৌসুমী।