সালমান খান এবং ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের ভালবাসা এখন এবং তখন ছিল রূপকথার গল্প। নীল চোখের বিশ্বসুন্দরীর সঙ্গে বলিউডের হ্যান্ডসাম হাঙ্কের ভালবাসার শুরু সঞ্জয় লীলা ভনশালীর পরিচিত ‘হম দিল দে চুকে সনাম’-এর সেটে। পর্দার প্রেমের মতোই তখন বাস্তব জীবনেও একে অপরের প্রেমে বুঁদ নায়ক নায়িকা। তবে সেই রূপকথা দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে খুব বেশি সময় লাগেনি।

শারীরিক নির্যাতন, অতিরিক্ত অধিকার বোধ, পরকীয়ার রেশ। এ সব কিছুর জেরে সেই ছবির মতোই সাড়া জীবনের জন্য পথ আলাদা হয়ে যায় দুজনের জীবনের যাত্রা। সালমান চেয়েছিলেন তাঁকে ঘিরেই ঐশ্বর্যার জীবন আবর্তিত হবে। কিন্তু সেই প্রত্যাশাপূরণ না হওয়াতেই তাল কাটে। একবার ঐশ্বর্যের ছবির সেটে গিয়েই ঝামেলা শুরু করেন সালমান।

সেই সময় শাহরুখের সঙ্গে ‘চলতে চলতে’ ছবির শ্যুট করছিলেন অ্যাশ। এর পরেই রেগে গিয়ে শাহরুখ ঐশ্বর্যাকে বাদ দিয়ে রানি মুখোপাধ্যায়কে নায়িকা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। ‘মহব্বতে’, ‘দেবদাস’-এর মতো একাধিক সফল ছবি একসঙ্গে করার পর শাহরুখের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তে ব্যথিত হয়েছিলেন নায়িকা।

এরপর কেটে গিয়েছে অনেকগুলো বছর। সালমান বা ঐশ্বর্যা কখনও আর একসঙ্গে কাজ করেননি। অন্যদিকে, শাহরুখের সঙ্গে সব মান অভিমানের বরফ গলিয়ে ফের পুরনো সমীকরণ গড়ে উঠেছে সালমানের। ২০১৬ সালে ঐশ্বর্যার ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিতেও একটি ক্যামিও করেন শাহরুখ।

সালমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্যা বলেছিলেন, শাহরুখের সঙ্গে তাঁকে সন্দেহের জেরেই সেই ছবির সেটে অশান্তি করেছিলেন সালমান।

নায়িকা জানিয়েছিলেন, শাহরুখ থেকে অভিষেক, প্রায় প্রত্যককে নিয়েই তাঁকে সন্দেহ করতেন প্রাক্তন প্রেমিক। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকবার নাকি সলমন তাঁর গায়েও হাত তুলেছিলেন। যদিও সালমান এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছিলেন। তাঁর কথায়, তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে নিজেকে আঘাত করলেও অন্য কাউকে কোনওদিন আঘাত করেননি। ঐশ্বর্যার জীবনের এই ঘটনা স্পষ্ট করে দিল, একজন সফল অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত টানাপড়েনের আঁচ তাঁর কাজের জগতকেও এলোমেলো করে দিতে পারে নিমেষে। কিন্তু এখনও মনে হয় সালমান খান তার ভালোবাসা কোননা কোনো একটি অংশ এখনও ঐশ্বরিয়া জন্য রেখে দিয়েছে মনের কোনো কোণে।