কোথায় ছিলেন,কেনো আড়াল ছিলেন ,৯ মাস কারো সাথে কোনো যোগাযোগ রাখেনি ,কিন্তু কেনো? বিয়ে জন্য মিডিয়া ছেড়ে দিলেন!! মা হচ্ছেন বুবলি ,এটা কি আসলেই সত্যি? নাকি অপু বিশ্বাসের মতই তার এমন হাল হয়ে গেছে,এসব অনেক অনেক মন্তব্য নেটিজিনদের। এমন সব হাজারো প্রশ্ন বাংলাদেশের বিনোদন জগতের একটি অভিনেত্রীকে নিয়ে,আর তিনি হলেন চিত্রনায়িকা বুবলি।

বছরের প্রথম দিনে অনেক দিন পর একটি সুন্দর ছবি তার অফিসিয়াল পেইজ এ শেয়ার করেন ,এবং ভক্তদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানায়। অনেকদিন পর কিছুটা ভিন্ন লুকে বুবলি,অন্যরকম লাগছে। কিন্তু এত পরিবর্তন!! কিভাবে!! কিন্তু সব থেকে বড় কথা এত দিন পর? তাহলে অবশেষে খোজ মিললো কি তার। এতদিন পর নিজ থেকে এগিয়ে আসেন বুবলি,জানান প্রথম আলোর প্রতিবেদক। তার সাথে একটি ইন্টারভিউ মাধ্যমে নিজের ৯ মাসের জার্নি ব্যাক্ত করেন অভিনেত্রী। এত প্রশ্ন ,চিন্তা চেতনার উন্মেষ ঘটে অবশেষে।

প্রথমে তাকে তার পরিবর্তনের পিছনের কারণ দিয়েই ইন্টারভিউ শুরু করা হয়,এবং একে একে সব প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজেই দিয়া শুরু করেন
বুবলি বলেন,
নিজেকে অনেক বেশি গ্রুমিং করতে হয়েছে। অনেক সময় দিতে হয়েছে, প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। নিউ লুক উপস্থাপন তো, নট আ ম্যাটার অব জোক, ইট টেকস টাইম। ওই জায়গা থেকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। তাই নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করি। অনেক সময় চাইলেও কাজের চাপে তা সম্ভব হয় না। এবার যেহেতু লম্বা সময় কাজ ছিল না, তাই নিজেকে তৈরির সময়টা দিয়েছি। ২০-২২ কেজি ওজন কমিয়েছি। আমি আসলে কখনোই চোখে পড়ার মতো ফ্যাট ছিলাম না। কিন্তু তারপরও আমার মনে হয়েছে, আরও প্রপার হতে হবে, ভালো কিছু কাজের জন্য। সে কারণেই ওজন কমানোর মিশন।

তিনি আরো জানান
ফেব্রুয়ারিতে আমার ‘বীর’ ছবিটি মুক্তি পায়। এর কিছুদিন পরই আমি দেশের বাইরে যাই। ২০১৯ সাল থেকেই আমি পরিকল্পনা করছিলাম, দেশের বাইরে যাওয়ার। অ্যাকচুয়েল কোনো পরিকল্পনা ছিল না। যেহেতু কাজের চাপ নেই, হাতে থাকা ছবির কাজও শেষ করেছি, তাই ভাবলাম দেশের বাইরে যাই। তখন আমি আমেরিকায় যাই।
আমি আমেরিকাতেই ছিলাম। নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে থেকেছি। ফিল্ম রিলেটেড কোর্স করতেই সেখানে গিয়েছিলাম। নিউইয়র্ক ফিল্ম একাডেমিতে অ্যাক্টিং ফর ফিল্ম ওয়ার্কশপে ১২ সপ্তাহের একটি কোর্সের জন্য যাই।

আমি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরই লকডাউন শুরু হয়। মার্চে পরিকল্পনা ছিল ক্লাস শুরুর। শেখার কোনো শেষ নেই, জানারও শেষ নেই। কোভিডের কারণে আমার পরিকল্পিত যে টাইম ডিউরেশন ছিল, তা কমিয়েও আনতে হয়েছিল। তিন মাস টার্গেট করে গেলেও এক মাসে কোর্স শেষ করতে হয়েছে। নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি ছিল। প্রতিদিনই খবর পাচ্ছিলাম। কী যে ভয়াবহ আতঙ্ক! প্রতিদিন ঘুম ভাঙত অ্যাম্বুলেন্সের শব্দে। সূর্য দেখে ভাবতাম, এখনো বেঁচে আছি তাহলে। সত্যিই জীবনের ভয়াবহ একটা সময় পার করেছি। সময়টার জন্য আমরা কেউই প্রস্তুত ছিলাম না।

এর সাথে তিনি আরো বলেছেন ,
মাস দেড়েক আগে মৃত্যুর শহর নিউ ইয়র্ক থেকে ঢাকায় ফিরেছি। অনেকটা সময় আমি আড়ালে ছিলাম, তখন অনেকের সঙ্গে কিন্তু আমার হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়েছে। এটা ঠিক, সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি, সে জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি দেখেছি, সবাই এই মহামারীর মধ্যে আমি ভালো আছি কি না, নিরাপদে আছি কি না, এ নিয়ে খুব উদ্বেগের মধ্যে ছিলেন। সবার খোঁজ নেওয়া ও ভালোবাসার জন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞ।

কিন্তু অনেকেই এই অবস্থার আবার নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা রেখেছেন লিখেছেন অনেক কিছু আমাকে নিয়ে।
আসলে আমার প্রেম, বিয়ে, সংসার, সন্তান নিয়ে সব সময় নানা ধরনের কথা হয়েছে,সবই আমি দেখেছি, আমার কাছে মনে হয়, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা না–ই বলি। সময়ের সঙ্গে সবকিছুই পরিষ্কার হবে। আমরা যারা বিনোদন অঙ্গনে কাজ করি, কাজের জন্য সবাই আমাদের ভালোবাসেন। তাই আমিও চাই না, ব্যক্তিগত জীবন কাজের চেয়ে বেশি ফোকাসড হোক। একতরফা অনেকে অনেক কিছুই শোনেন। এটাও ঠিক, আমরা যারা বিনোদন অঙ্গনে কাজ করি, তাদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কেও অনেকে অনেক কিছু জানতে চান। সেই চাওয়া ও আগ্রহকে অবশ্যই সম্মান করি। তাই বলে অনেক কল্পকাহিনি শুনে আপনারাও অনেক কিছু একতরফাভাবে বাছবিচার করে ফেলবেন না যেন,উল্টা পাল্টা মন্তব্য করে ফেলবেন না,এতে যার উপর দিয়ে যাবে তার কেমন লাগে সেটাই ভাবা উচিত। সময়টুকুর প্রতি সম্মান দিন। সবকিছু একটা নির্দিষ্ট সময় পর সবার কাছে পরিষ্কার হয়। আমি বলব, গল্পের পেছনেও অনেক গল্প থাকে, তাই আমরা আপাতত ওসবে কান না দিই।