গেলো মাসের ২৬ অক্টোবর, ৪৬ বছরে পা দিলেন বলিউডের সুন্দরী অভিনেত্রী রাবিনা ট্যান্ডন। বয়স যে শুধুমাত্রই একটা সংখ্যা, এটি যে শুধু ক্যালেন্ডারেই বাড়ে, তা প্রমাণ করেছেন বলিটাউনের দিলওয়ালে গার্ল রাবিনা ট্যান্ডন! ৯০ই দশকের ছেলেদের পাগল করেছেন এই অভিনেত্রী তার অভিনয়ের মাধ্যমে।

জন্মদিনে বলিউডের অন্যতম বোল্ড অ্যান্ড বিউটিফুল নায়িকার জীবন সম্পর্কে রইল কিছু চমকে দেয়া অজানা তথ্য- যা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় অনেক সময়ে। তাহলে জেনে নিয়া যাক কি সেই সমালোচনা যাকে ঘিরে রাবিন ট্যান্ডন!

একসময় অক্ষয় কুমার আর রবিনা ট্যান্ডনের সম্পর্ক ছিলো বলিটাউনের অন্যতম আলোচ্য বিষয়। কিন্তু ‘খিলাড়ি’-র জীবনের অস্থিরতাকে চিনেছিলেন রবিনা। কারণ অক্ষয় কুমার ছিলেন সে কালের প্লে বয়, সুন্দর সুন্দর নায়িকা সকলেই তার প্রেমে হবু ডুবু খেত তাই সিমি গারেওয়ালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানাতে দ্বিধা করেননি- এনগেজমেন্টের পরেও সম্পর্ক ভাঙতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।

রাবিনা দাবি করেছিলেন, তাকে লুকিয়েই শিল্পা শেঠির সঙ্গে চলছিল অক্ষয়ের প্রণয়পর্ব, সেই কারণেই তিনি তার সঙ্গে ঘর বাঁধতে অস্বীকার করেন। ট্যান্ডন এটাও জানান তার এবং অক্ষয়ের প্রেমে মাঝে চলে আসে শিল্পা শেঠি,যার দরুন ফাটল ধরে এত সুন্দর প্রেমের বন্ধনের। যদিও পরবর্তীতে নানা ভাবে অক্ষয় কুমার এবং শিল্পা শেঠির প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল দীর্ঘ সময় ধরে। কিন্তু এর পর অক্ষয় কুমার তার পুরনো অভ্যাস জারি রেখে ,ভেঙে দিল শিল্পা শেঠির মন।

তাদের এসব দেখে থেমে থাকেনি ট্যান্ডন। ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটর অনিল থাদানিকে বিয়ের আগেই মাতৃত্বের স্বাদ অনুভব করেছিলেন নায়িকা। তিনি দত্তক নিয়েছিলেন দুই কন্যাসন্তান। পরে অবশ্য অনিলের সঙ্গে এক কন্যা এবং এক পুত্রসন্তানেরও জন্ম দেন রাবিনা। এখন তাদের দুজনের সংসার অনেক সুখের। দুই দত্তক করা মেয়েদের বিয়ে দিয়ে নানিও হয়েছেন তিনি।

রবিনা বলিউডে প্রথম পা রাখেন ১৯৯১ সালে, সালমান খানের বিপরীতে, পাত্থার কে ফুল ছবিতে। এই ছবির দৌলতে তিনি সেই বছর সেরা নবাগতা নায়িকা হিসাবে ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার জিতে নেন। এ রকম জমাটি শুরুর পর কোনো নায়িকাই পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতে সাহস করবেন না। কিন্তু রাবিনার কাছে অভিনয় অভিনয়ই, তাই ১৯৯৪ সালে লাডলা ছবিতে খুব ছোট একটা চরিত্রেও অভিনয় করতে বাঁধেনি তার! সেই ছবির জন্যও সেরা সহ-অভিনেত্রী হিসাবে ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়ন পেয়েছিলেন রবিনা।