বর্তমান সময়ের আলোচিত টালিউড তারকা জুটি যশ ও নুসরাত। প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ এবং সন্তান নিয়ে বিতর্কের শেষ ছিল না অভিনেত্রী নুসরাত জাহানের ও সঙ্গে জড়িত ছিলেন যশ দাশগুপ্ত। নিখিলের সঙ্গে মনোমালিন্যের পর পরই অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের প্রেমে পড়েন নুসরাত জাহান। সম্পর্ক ও বিয়ের কথা না মানলেও নুসরাতের সন্তান ঈশানের বার্থ সার্টিফিকেটে দেখা যায় তার সন্তানের বাবার নাম যশ দাশগুপ্ত। তার কিছুদিন পর যশের জন্মদিনে নুসরাত কেকের মধ্যে লেখেন ‘হাজবেন্ড’ এবং ডেড।

এরপর নুসরাত ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, তিনি আর যশ আপাতত উপভোগ করছেন তাদের অভিভাবকত্ব। প্রথমবার প্রকাশ্যে সন্তান নিয়ে তাদের দীপাবলী উৎসব উদযাপন করতে দেখা যায়। অবশেষে একসঙ্গে বসবাস করছেন তারা। তারপর থেকে সব জল্পনা কল্পনার শেষ হয়। সব মিলিয়ে ভালো যাচ্ছিল যশ-নুসরাতের সম্পর্ক। কিন্তু গত শুক্রবার নুসরত জাহান ও যশ দাশগুপ্তের ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে শুরু হয় এক নতুন জল্পনা।

ইনস্টাগ্রামের সেই স্টোরিতে নুসরাত লিখেন, ‘যে ঘরে শান্তি নেই তা কারাগারের সমান। আর সেরা কারাগার হলো সেই ঘর যা ভালোবাসা দিয়ে তৈরি, যা কি না কেউ ছেড়ে যেতে চায় না!’ নুসরাতের এমন লিখনে শুরু হয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে গুঞ্জন। আর এ গুঞ্জন আরও বাড়িয়ে দিলেন যশ নিজেই। নুসরাতের এ স্টোরির পাশাপাশি অভিনেতা যশও তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে একটি স্টোরি দিয়েছেন। যশ স্টোরিতে লিখলেন, কেন খাঁচায় বন্দি আছো? খাঁচার দরজা তো খোলাই রয়েছে।

যশের এ ইনস্টাগ্রাম স্টোরি একেবারেই নুসরাতের স্টোরির পাল্টা জবাব! অন্তত, নেটিজেনরা তাই বলছেন। এর আগেও অনেকবার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন এ দুই তারকা। তাহলে এবার কী বিচ্ছেদের ঘোষণা করতে চলেছে যশরত! একে অপরের থেকে আলাদা হচ্ছেন যশরত? এটি কি সম্পর্ক ভাঙার ইঙ্গিত! নাকি শুধুই গুঞ্জন! এমন অনেকে প্রশ্ন তুলেছে নেটিজনরা।

কিন্তু বিচ্ছেদের বিষয়ে এই দুই তারকা কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বা ।কোন মুখ খোলেননি। সত্যতা কি তা সঠিক জানা যায়নি তাই আপাতত এটি গুঞ্জন বলেই ধারণা করা যায়। কয়েকদিন আগেই আলিপুর আদালত খারিজ করে নুসরাত জাহান ও নিখিল জৈনের বিয়ে। সেই বিয়ে অবশ্য অনেকদিন আগেই বাতিল ঘোষণা করেছিলেন এই অভিনেত্রী।

পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিকের নতুন সিনেমা ‘মাস্টারমশাই আপনি কিছুই দেখেননি’তে জুটি বাঁধছেন যশ ও নুসরাত। কয়েক দিন আগেই কাশ্মীরে এ সিনেমার গানের শুটিং সেরে এসেছেন যশরত।