ব্রণ মুক্ত এবং দাগহীন ত্বক ই হচ্ছে সুন্দরের বৈশিষ্ট্য। কারণ
ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় ব্রণ। এবং ব্রণ পর থেকে যায় তার জিদ্দি দাগ!যেত সুন্দরের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। কেননা ব্রণের দাগ যেতে অনেক সময় নিয়ে নেয়,কিছু ব্রণের দাগ আছে ,হাজারো চেষ্টার পরও যেতে চায় না। তাই উচিত ব্রণ উঠতে না দিয়া ,অথবা অল্প সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া, আমাদের ত্বকের তৈলগ্রন্থি ব্যাটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে এর আকৃতি বৃদ্ধি পায় তখন এর ভিতরে পুঁজ জমা হতে থাকে, যা ধীরে ধীরে ব্রণ রূপান্তর হয়ে ব্রণের আকার ধারণ করে। সাধারণত টিনেজার মেয়েরাই ব্রণ ও ব্রণের দাগ নিয়ে বেশি ভোগে। ব্রণ থেকে বাঁচতে কিছু উপায় অবলম্বন করুন। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি যা সহজেই আপনার ব্রণ কমাতে সাহায্য করবে। আর ঘরোয়া, প্রাকৃতিক ও অরগানিক সামগ্রীই সবচেয়ে নিরাপদ উপায় । এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ারও ভয় থাকে না
তাহলে জেনে নেয়া যাক ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দূর করার ৮টি ঘরোয়া উপায়
১) গ্রীন টি:
ত্বকে অতিরিক্ত তেলতেলে ভাবের ফলে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। এ ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে গ্রীন টি পানি দিয়ে ভিজিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। গ্রীন টি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ বন্ধ করে সাহায্য করে। এবং দাগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

২) শশার রস
শশার রস তৈলাক্ততা দূর করতে খুবই কার্যকর। প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে শশার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। কিংবা আইস কিউব করে রেখেও সেটি ব্যবহার করতে পারেন, এতে ওপেন পোরসের সমস্যা কিছুটা কমে যাবে,এবং তাতে পিম্পল হাওয়ার পরিমাণ কম হবে অনেকটা।

৩) শশার রস, চালের গুঁড়া ও মধু:
শশার রস মুখে ব্রণ দূর করতে খুবই কার্যকর। এ ছাড়া স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে এর সঙ্গে চালের গুঁড়া মিশিয়ে নিলেই হবে। যাদের মধুতে অ্যালার্জি নেই, তারা সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন এই প্যাকের সাথে। সপ্তাহে দুই দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হবে। ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হয়ে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে, ব্রণ থাকলে স্ক্রাব করা যাবে না।

৪) কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো
কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর দুটো উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবংচন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে। মিশ্রণটি এরপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে গেলে মুখঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।

৫) তুলসি পাতার রস
ব্রণের জন্য তুলসি পাতার রস খুব দ্রুত কাজ করে। কারণ তুলসি পাতায় আছে আয়ূরবেদিক উপাদেয়। শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণ আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

৬) দারুচিনি গুঁড়ার ও গোলাপজল:
আমরা জানি গোলাপজলের প্রতিদিন ব্যবহার করলে ব্রণের দাগ কমে যায়,কিন্তু দারুচিনি মুখের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাকি জানেন? দারুচিনি গুঁড়ার সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

৭)ডিমের সাদা অংশ:
ডিমের সাদা অংশ আছে আন্টির এজিং প্রপাটিস,তাই ডিম ত্বককে করতে পরে টানটান এবং দাগ মুক্ত।
রাতে শোয়ার আগে ডিমের সাদা অংশ ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় ম্যাসেজ করে সারারাত রাখতে পারেন। এটি আপনার ত্বকের খসখসে ভাব দূর করে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি এর সাথে লেবুর রস যোগ করা যায়। আপনি এটি আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলতে পারেন।

৮)পেঁপে ও চালের গুঁড়ো
ব্রণ হবার একটি অন্যতম কারণ হলো অপরিষ্কার ত্বক। তাই ত্বক রাখতে হবে পরিষ্কার। নিয়মিত স্ক্রাবিং ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। পাকা পেঁপে চটকে নিন এক কাপ। এর সাথে মেশা এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চালের গুঁড়ো। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো শরীরে লাগান। ২০-২৫ মিনিট মাসাজ করে গোসল করে ফেলুন। পেঁপে ছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন ঘৃতকুমারীর রস।

উপরোক্ত উপায় অনুসরণ করার মাধ্যমে ব্রন সমস্যা এবং দাগ থেকে নিরীসন পেতে পারেন