বলিউডের জনপ্রিয় তারকা রাজকুমার রাও ও অভিনেত্রী পত্রলেখা পাল বিয়ে করলেন। ১১ বছরের ভালোবাসা অবশেষে পূর্ণতা পেলো। রাজকুমার-পত্রলেখার বিয়ে নিয়ে উচ্ছাসিত কম ছিল না। বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের বিয়ের তারিখ ঠিক হওয়ায় কথা উঠে। অবশেষে ১৫ নভেম্বর সোমবার চণ্ডীগড়ের দি ওবেরয় সুখবিলাস রিসর্টে হিন্দু রীতিতে দু’জনের বিয়ে হয়। বিয়ের ছবিতে দেখা গেছে রাজকুমার রাও ধূসর শেরওয়ানি পড়েছেন এবং পত্রলেখা লাল রঙের লেহেঙ্গা পড়েছেন। সেই ছবি আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে।

অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে তাদের বিয়ের ভার্চুয়াল কার্ড। ভার্চুয়াল কার্ডে লেখা আছে, ‘রাও পরিবার ও পাল পরিবার সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে পত্রলেখা (অজিত পাল ও পাপড়ি পালের কন্যা) ও রাজকুমারের (কমলেশ যাদব ও সত্যপ্রকাশ যাদবের পুত্র) বিয়েতে।’ সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিয়ের স্থানের উল্লেখও রয়েছে (চণ্ডীগড় দি ওবেরয় সুখবিলাস রিসর্টে)

এক গণমাধ্যমে পত্রলেখা বলেছেন ‘এলএসডি’ ছবিতে রাজকুমারকে অনস্ক্রিনেই প্রথম দেখেন তিনি। পত্রলেখা আরও জানান, এক বিজ্ঞাপনে তাকে প্রথম দেখেন রাজকুমার। রাজকুমার নাকি প্রথমবার দেখেই পত্রলেখাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। অথচ দু’জনে দু’জনকে পর্দায় দেখার অনেক আগে থেকেই চিনতেন। ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টটিটিউট অফ ইন্ডিয়া থেকে একসঙ্গে পাশ করেছেন। তবে কলেজের পরিচয় মুখ-চেনার পর্যায়েই আটকে ছিল। প্রেম শুরু হয় দু’জনে একসঙ্গে বলিউডে কাজ শুরু করার পর। বলিউড ছবি ‘সিটি লাইটস’-এ প্রথম একসঙ্গে কাজ।

১১ বছর লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার পর শেষমেশ রাজকুমার-পত্রলেখা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রাজকুমার লিখেছেন, ’১১ বছরের ভালবাসা, রোম্যান্স, বন্ধুত্ব ও মজার পরে আমি অবশেষে বিয়ে করলাম আমার আজকের সময়ের সব কিছু, প্রাণের দোসর, বেস্ট ফ্রেন্ড, পরিবারকে। পত্রলেখা। আজ আমার জীবনে তোমার স্বামী ডাক শোনার চেয়ে বড় কিছু আর নেই। এখন থেকে সর্বদা.. এবং তার পরেও।’

পত্রলেখা নিজেও রাজকুমারের সঙ্গে তাঁর বিয়ের ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমি আমার আজকের সময়ের সব কিছু, আমার বয়ফ্রেন্ড, পার্টনার ইন ক্রাইম, আমার পরিবার, প্রাণের দোসর… গত ১১ বছর ধরে আমার বেস্ট ফ্রেন্ডকে বিয়ে করলাম। রাজকুমার, তোমার স্ত্রী হওয়ার থেকে বড় কোনও অনুভূতি আমার জীবনে নেই।’