বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ খ্যাত আমির খান। আমির খান এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী কিরণ রাও ২০০৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। বিয়ের ছয় বছর পর জন্ম হয় তাদের একমাত্র সন্তান আজাদ রাও খান। কিরণের আগে প্রথম স্ত্রী রিনা দত্তের সঙ্গে সংসার করেছেন আমির খান। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার দুই সন্তান ইরা খান ও জুনেইদ খান। আমির-কিরণ তাদের দীর্ঘ ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন গত জুলাই মাসে।

এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় গত কয়েক দিন ধরেই আমিরের তিন নম্বর বিয়ে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে। কিরণের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ঘোষণা দিলেন আমির বন্ধুত্ব অটুট থাকবে তাদের মধ্যে। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় গত কয়েক দিন ধরেই আমিরের তিন নম্বর বিয়ে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে তাদের ডিভোর্সের ঘোষণার পরপরই ফেসবুকে গুঞ্জন উঠেছিল আমির-ফাতিমার সম্পর্ক নিয়ে।

দঙ্গল সিনেমায় ফাতিমা ভারতীয় কুস্তিগীর গীতা ভোগাত এর ভূমিকায় অভিনয় করেন যেখানে গীতার বাবা মহাবীর সিং ভোগাত এর চরিত্রে আমির খান অভিনয় করেন। নেটিজেনদের দাবি, দঙ্গল অভিনীত ফাতিমার প্রেমে পড়েই নাকি কিরণের সঙ্গে নিজের সংসার ভেঙেছেন আমির খান। তবে দঙ্গল কন্যা ফাতিমা স্পষ্ট করেছেন, আমির খান তার মেন্টর মাত্র। তাদের মধ্যে কোনো রকমের প্রেমের সম্পর্ক নেই। এ নিয়ে মুখ খোলেননি ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ খ্যাত আমির।

তবে অভিনেতার ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা যায়, আমির-ফাতিমার বিয়ের এই গুঞ্জন সম্পূর্ণ ভুয়া একটা খবর। বিয়ে হচ্ছে না তাদের। গোটা বিষয়ে বিরক্ত আমির, তবে এ নিয়ে কোনো রকম মন্তব্য করতে চান না তিনি। আমির-কারিনা অভিনীত ‘লাল সিং চড্ডা’র নতুন পোস্টার ও মুক্তির তারিখ সামনে আসার পর থেকেই আমির খানের বিয়ের খবর ভুয়া বলে প্রকাশ পেয়েছে।

ফাতিমা ১৯৯৭ এ নির্মিত কামাল হাসানের চলচ্চিত্র চাচী ৪২০ এ অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউড চলচ্চিত্রাঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করেন। অন্যদিকে চাচা নাসির হুসেনের ‘ইয়াদোঁ কি বারাত’ (১৯৭৩) ছবিতে একজন শিশুশিল্পী হিসাবে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। তবে পেশাগতভাবে তার অভিনয় জীবনের সূচনা হোলি (১৯৮৪) ছবির মাধ্যমে। প্রথম বাণিজ্যিকভাবে সফল ছবি চাচাতো ভাই মনসুর খানের কেয়ামত সে কেয়ামত তক।