বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে তদন্তে বির্তকের সাথে শিরোনামে রয়েছেন মহেশ ভাট। সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে একের পর এক নতুন তথ্যে বের হয়ে আসছে আর তার সাথে নাম জড়াচ্ছে আলিয়া ভাটের পিতামহর নাম। যদিও মহেশের কাছে এসব বিষয় কোনো নতুন নয়।
বলিউড কন্ট্রোভা’র্সির প্রথম সারিতেই সর্বদা উদীয়মান থাকেন মহেশ। নিজের মেয়ে পূজাকে সাথে অরুচিপূর্ণ ফটোশুট হোক কিংবা নতুন স্টারেদের সঙ্গে কোনো আপত্তিকর মন্তব্য হোক অথবা সত্তরের দশকের বলিউডের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী পারভিন ববি-র সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক হোক, সব কিছুতে লাইমলাইটে রয়েছেন পরিচালক মহেশ ভাট।

সুপারহিট অভিনেত্রী হিসেবে যতটা জনপ্রিয় ছিলেন ববি ততটাই আকর্ষণীয় এবং সুন্দরী ছিল তার ব্যক্তিগত জীবন। খ্যাতিতে পরিপূর্ণ তার জীবনে এমন কিছু গল্পঃ রয়েছে যা অনেকেরই অজানা। একাধিক সম্পর্কেও নাম জড়িয়েছিল পারভিন ববির। সাহসী অভিনেত্রী হিসেবে বি-টাউনে তার খ্যাতি ছিল আকাশপথ। ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনের কারণেই মানসিক অবসাদে চলে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী,তার জীবনের পরিণতি হয়ে পরে ভয়াবহ।
পারভিন ববি যখন অভিনয়ের শীর্ষে ছিলেন, তখনই মহেশ ভাটের সঙ্গে প্রেমের রাসলীলা শুরু হয়েছিল। সেই সময় কবীর বেদির সঙ্গে ব্রেকআপ হয়েছিল পারভিন ববির।

ব্রেকআপ কষ্ট দূর করতে সেই সময় পারভিনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মহেশ ভাট। তারপর থেকেই লিভ ইন করতে শুরু করেছিলেন এবং মহেশের ভালোবাসা পেয়ে ,তার প্রতি পাগল হয়ে গেছিলেন পারভিন। কথিত আছে, পারভিনের উপর রাগ করে মহেশ তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিল এবং পারভিনও কোনো পোশাক ছাড়াই নাকি তার পিছন পিছন বেরিয়ে এসেছিল।

মহেশ একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, পারভিনের উপর রেগে গিয়েই একবার বেডরুম থেকে সোজা বেরিয়ে এসেছিলেন। মূলত পারভিন মুখ থেকে একটি কথা শুনেই হতবাক হয়ে গেছিলেন মহেশ। তারপর তার কথার কোনো উত্তর না দিয়েই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান মহেশ।
মহেশের জানান, তিনি লিফটের জন্য অপেক্ষা করেননি বরং সিড়ি বেয়ে নামতে শুরু করেন। সেই সময় সিড়ি দিয়ে দৌঁড়ে নামা’র শব্দও শোনেন। ঠিক তখনই পুরো আপত্তিকর অবস্থায় সিড়ি দিয়ে দৌঁড়ে নেমে এসেছিলেন পারভিন। এই ঘটনার কয়েকমাস পরেই তাদের সম্পর্কে নড়বড় হওয়ার অংকুর ধরে।

১৯৭৯ সালে একদিন মহেশ বাড়ি ফিরে দেখে পারভিন তার ঘরের এক কোণে ছুরি হাতে বসে আছে। মহেশকে দেখে তাকে ইশারা দিয়ে চুপ করে থাকতে বলেছিলেন অভিনেত্রী। ঘরে কেউ আছে, তারা নাকি ববিকে হত্যার চেষ্টা করছে। এই প্রথম ববির এরকম আচরণ দেখে অবাক হয়েছিলেন মহেশ।
এরপর একাধিকবার তাকে এই রকম আচরণ করতে দেখা গেছে। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর জানা যায় সিজোফ্রেনিয়া নামক মানসিক রোগে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন ববি।

তিনি সবসময় মনে মনে ভাবছেন কেউ তাকে মেরে ফেলতে চায়। এমনকী’ সবসময়েই কিছু না কিছু নিয়ে তিনি ভেবেই যেতেন। পারভিনের অবস্থা ধীরে ধীরে অবনতি দিকে যাচ্ছিল,এমনকি এতটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছিল যে একসময়ে তাকে ঘরে আটকে রাখতে বাধ্য হয়েছিল।
মহেশ ভাটেরও ব্যক্তিগত জীবন আলোচিত। ১৯৭০ সালে কিরণ ভাটকে বিয়ে করেছিলেন মহেশ। তাদের দুই সন্তান পূজা ও রাহুল ভাট। কিন্তু তারপরই পারভিনের সঙ্গে ২২ বছরের সম্পর্ক ছিল মহেশের।

পারভিনের সঙ্গে স’ম্পর্কে জড়ানোর পরই তার স্ত্রী কিরণ এ ব্যাপারে জানতে পারলে তাকে ছেড়ে চলে যায়। তারপর পারভিনের সঙ্গে লিভ-ইন ছিলেন মহেশ। শেষে পারভিনের মানসিক অসুস্থতার কারণে তিনি পারভিনকে ছেড়ে দেন। পারভিনকে ছাড়ার পরই সোনি রাজদানকে বিয়ে করেন মহেশ। আলিয়া ও শাহিন ভাট হল সোনি রাজদানের মেয়ে।