দীর্ঘ অপেক্ষা ২৮ বছর সাধনার পর অবশেষে সফলতার মুখ । এই দীর্ঘদিন পর শেষ হলো বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির অবসান। তার হাতে আসলো দেশের হয়ে প্রথম কোন আন্তর্জাতিক শিরোপা। এবারের ম্যাচটি ছিল আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল সাপোর্টারদের জন্য স্মরণীয় একটি দিন। যা এত বছর সংগঠিত হয়নি ,সেটা ২০২১ ই এসে বাস্তবায়ন হয়। বহু দশক ধরে আর্জেন্টিনার ও ব্রাজিল সাপোর্টারদের ইচ্ছা দুইদল কে মুখোমুখি হাজির করা। এবার টা পূরণ হয়েই গেলো।

কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ব্রাজিলকে হারিয়েই শিরোপায় হতে নিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি। ম্যাচটি কোনো অংশে মনোরঞ্জন এর ক্ষেত্রে থেকে কম ছিল না। কেননা দুইটি দল তাদের পক্ষ থেকে নিজেদের ডিফেন্স করার অসম্ভব চেষ্ঠা করেছে এবং দুই দল যথেষ্ঠ ভালো খেলেছে। কিন্তু অবশেষে
১- গোলে ব্রাজিলকে হারালো আর্জেন্টিনা। তবে আক্রমণত্মক হিসেবে বেশ ছিল ব্রাজিল।

প্রসঙ্গ মতে ,সবশেষ ১৯৮৬ দিয়েগো ম্যারাডোনার হাত ধরে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর ১৯৯১ ও ১৯৯৩ সালের কোপা আমেরিকাও জিতেছে আলবিসেলেস্তেরা। এরপর অনেক চেষ্ঠা করেও আর্জেন্টিনার আন্তর্জাতিক শিরোপা দেখতে পারেননি দিয়েগো ম্যারাডোনা।
২০০৪, ২০০৭, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকা ও ২০১৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত ট্রফি নিজেদের ঘরে তুলতে পারেনি মেসি। এবার আর ভুল করলেন না সময়ের সেরা ফুটবলার। ব্রাজিল থেকেই ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরলো আলবিসেলেস্তেরা।

রোববার ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচটিতে জমসে খেলছিল স্বাগতিক ব্রাজিল। ম্যাচের শুরু থেকে বারবার আর্জেন্টিনার দলকে হানা দেয় তারা। তবে আর্জেন্টিনা জমাট রক্ষণ ভেঙে সাফল্যের দেখা পায়নি সেলেসাওরা।

খেলা শুরু না হতেই ৩ মিনিটের মাথায় ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখলেন ব্রাজিলের ফ্রেড। উল্টো ম্যাচের ২২ মিনিটের মাথায় রদ্রিগো ডি পলের দুর্দান্ত থ্রু বলে রেনান লোদির ভুলে এডারসনকে ফাঁকি দিয়ে ব্রাজিলের জালে বল উড়ায় ডি মারিয়া।
ব্রাজিল ডিফেন্সের ওপর দিয়ে ডি পলের শট প্রথম হাত ছাড়া না করে নিজের আয়ত্বে নেন ডি মারিয়া, একা এডারসন চোখ ফাঁকি দিতে সমস্যা হয়নি এক্সপার্ট ডি মারিয়ার। শুরুতেই দলকে এগিয়ে দেন এ দুর্দান্ত খেলোয়াড় ডি মারিয়া। ডি মারিয়াই আজক দলকে এনে দিলেন প্রথম সাফল্য।