প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে যে যতই তর্ক বিতর্ক করুক, হলি থেকে বলি এখন প্লাস্টিক সার্জারিরই অভিনেতা এবং অভিনেত্রী ভাসছে। আয়নার সামনে দাঁড়ালেই নজরে পড়ছে নানা খুঁত। বড়ো সড়ো খুঁত হলে প্রায় সকলেই ছুঁট দেন লস এঞ্জেলস কিংবা দুবাই। সেখানেই নাকি রয়েছে প্লাস্টিক সার্জারির আসল কেন্দ্রস্থল। আমেরিকার নামকরা মডেল কার্দাশিয়ানদের হাত ধরেই প্লস্টিক সার্জারী ট্রেন্ড শুরু হয় ওয়েস্টার্ন কালচারে।
তার আগেও বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীই শরীরে কাঁচি-ছুরির চালানোর জন্য প্লাস্টিক সার্জানের শরণাপন্ন হয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু প্রথম ট্রেন্ড চালু করে এই কার্দাশিয়ান পরিবার। সেই ট্রেন্ড যেন দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
কারিনা থেকে ক্যাটরিনা, ফিলার্স, চিক ইমপ্লান্ট, মেলানিন থেরাপির ফ্যান এখন অনেকেই। যেমন শ্রুতি হাসান তো দিন কতক আগে স্বীকারই করে ফেললেন যে তিনি লিপ ফিলার্স নিয়ে অবেসসড হয়ে পড়েছিলেন। বছর কয়েক ধরে প্লাস্টির বিউটির থাবা পড়েছে বাংলার বিনোদন জগতেও।
প্রথমেই আসা যাক টলিউডের এ লিস্টেড তারকাদের মধ্যে থাকা বেশ আলোচিত একজনের নাম ,আর সেই একজন হলেন মিমি চক্রবর্তীর। নেটিজেনের কথায় ‘গানের ওপারে’র পুপেকে আর আগের মত দেখতে লাগে না। বদলে গিয়েছে চোখ মুখের গঠন। ইনস্টাগ্রামে যেহেতু তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন থেকে পেশাগত জীবনের ক্লোজ আপ লুক পাওয়া যায় তাই সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় চোখ রাখে নেটিজেনরা।
এখন আসি নুসরাত জাহানের কথায়। এই অভিনেত্রী তো সর্বদা মিডিয়া ল্যাম লাইটে থাকে, তাঁকে নিত্যদিনেই ধর্ম নিয়ে,এমনকি বিয়ে নিয়ে নানা ট্রোল করে যায় নিন্দুকরা। তবে সার্জারি বিষয় কেবল নিন্দুকরা নয়, বলেছে ভক্তরাও। তাদের মনে হয়েছে, নুসরতের ঠোঁটের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য দেখা দিয়েছে। তাঁর ঠোঁট আগের থেকে অনেক বেশি মোটা হয়ে গিয়েছে। এমনকি এটাও বলছে তার এখনকার চেহারা যে অবস্থা যা অনেকের কাছে দেখতে ভয়ংকর লাগে,তার আগে ফেইস যতটা মাধুর্য্য ছিল তা এখন আর নেই।
এই তালিকায় কেবল মিমিকে রাখলে চলবে না, রয়েছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ও। তাঁর রূপের মধ্যেও নাকি তফাৎ খুঁজে পেয়েছেন ভক্তরা। শুভশ্রীরও ঠোঁট নাকি আর আগের মতই নেই। ভক্তদের কথায়, শুভেশ্রীর আগের সাধারণ চেহারাই ভাল লাগতো। তাঁর লিপ ফিলার্স নাকি এখন অত্যন্ত স্পষ্টভাবে নজরে পড়ে।
বেশ কয়েকজন নেটিজেনরা এও দাবি করেছে, শুভেশ্রী নাকি মেলানিন থেরাপির সাহায্য নিয়ে গায়ের রঙ ফর্সা করেছেন। গ্রুমিংয়ে নাকি গায়ের রঙের এতটা তফাৎ আসে না। শুভেশ্রীর বেশ কয়েকটি ছবিতে ভক্তরা তাঁকে অনুরোধ জানিয়েছে আগের লুকে ফিরে আসতে। সার্জারিতে নাকি তাঁকে মোটেই ভালো লাগছে না।
এবার আসা যাক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়েও কাছে। তাঁর অতিরিক্ত মোটা ঠোঁটের দিকে আঙুল তুলেছে নেটদুনিয়া। কমেন্ট সেকশনে সাইবারবাসীরা লিখেছেন, নায়িকা নাকি এই মোটা ঠোঁটের কারণে ঠিক করে কথাই বলতে পারেন না।
তাঁর সার্জারি নাকি একেবারেই খারাপ রূপে প্রকাশ পেয়েছে। তার প্রমাণ হল নায়িকার ক্লোজ আপ শট। বেশ কয়েকটি সেলফিতে তাঁর ঠোঁটের আকার দেখতে অদ্ভুত লাগছে। সেই কারণেই কি নেটিজেন এই সার্জারি দাবি করে চলেছে।
এই ছিল টলি দুনিয়ার নামকরা কিছু অভিনেত্রী যাদের দিনের পর দিন সার্জারির জন্য কুটু কথার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।