চুলের খুশকি দূর করার উপায় খুশকি এখন প্রায় সব বয়সের মানুষেরই হয়ে থাকে। অন্যান্য মৌসুম থেকে শীতকাল এলেই বেড়ে যায় এই খুশকির সমস্যা। খুশকির সবচেয়ে কারণ বলা যেতে পারে ড্রাই স্কিন, সেবোরেইক ডারমাটাইটিস বা ত্বকের তৈলাক্ত ও চুলকানিপ্রবণ অবস্থাকে। এই সমস্যা থেকে চুলপড়াসহ নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে চুলে। তাই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে ঘরে বসেই এসব খুশকি রোধ করা উপায়। চলুন দেখে নেয়া যাক খুশকি দূর করার কিছু সহজ উপায়;

নারকেল তেল: নারকেল তেল খুশকির প্রকোপ কমাতে খুবই কার্যকরী। এ ছাড়া চুলে গোড়া ময়েশ্চারাইজ করে খুশকি এবং স্ক্যাল্প ইনফেকশনের সম্ভাবনাও অনেক কমিয়ে দেয়। সপ্তাহে দু’বার চুলের গোড়ায় নারকেল তেলের মালিশ করলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।

জলপাই তেল: খুশকির সমস্যা দূর করতে জলপাই তেল বা অলিভ অয়েলের ব্যবহার নানা দেশে খুবই জনপ্রিয়। নিয়মিত জলপাই তেল ব্যবহারে খুশকি কমে। কারণ জলপাই তেল প্রাকৃতিকভাবেই ভালো ময়েশ্চারাইজার এবং ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে বা ত্বকের আর্দ্রতা ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করে।

ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: খুশকি ভরা মাথায় ঘৃতকুমারীর রস মেখে নিলে দারুণ আরাম পাবেন। খুশকির জ্বালায় দিনরাত চুলকানো থেকে খানিকটা ছুটিও দেবে ঘৃতকুমারীর রসের শীতল আরাম। এই উদ্ভিদ রসের সমৃদ্ধ উপাদানগুলো আপনার ত্বকের অনেক সমস্যাই দূর করবে। প্রাকৃতিক এ উপাদানটি স্বাস্থ্য, ত্বক ও চুল ভালো রাখতে খুবই কার্যকরী। এ উপাদানটি বিভিন্ন প্রসাধনীতে ব্যবহার করা হয়।

লেবুর রস: দুই টেবিল-চামচ লেবুর রস অল্প জলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ২-৫ মিনিট ম্যাসাজ করার পর চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দু’বার এইভাবে চুলে লেবু ব্যবহার করুন।

মেথি: মেথি সারারাত জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে নিয়ে ভাল করে বেটে নিন। ছেঁকে নেয়া জল ফেলে দেবেন না। এবার বেটে নেয়া মেথি চুলের গোঁড়ায় মাথার ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ঘণ্টা খানেক রেখে চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার পর মেথি ভিজিয়ে রাখা জল দিয়ে আরও একবার চুল ধুয়ে নিন। এ ভাবে সপ্তাহে দু’বার মেথি-মালিশ করুন।

পেঁয়াজের রস: দুটো পেঁয়াজ ভাল করে বেটে এক মগ জলে মিশিয়ে নিয়ে মাথায় এই রস ভাল করে লাগিয়ে মালিশ করুন।

কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে সপ্তাহে দু’বার পেঁয়াজের রস মাথায় মাখলে খুশকির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাওয়া যাবে।